আগরতলা, ৭ মে, ২০২৫ঃ
বাংলাদেশী বলে অপবাদ দিয়ে গুজরাট ও উড়িষ্যা সহ একাধিক রাজ্য থেকে বাঙালি শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের বলপূর্বক বিতাড়নের অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করল “আমরা বাঙালি” দল। বুধবার আগরতলায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকে সংগঠনের সচিব গৌরাঙ্গ রুদ্রপাল জানান, শুধুমাত্র বাংলা ভাষায় কথা বলার অপরাধে ওইসব রাজ্যে বসবাসকারী বাঙালিদের উপর বর্বরোচিত হামলা চালানো হচ্ছে। সংগঠনের দাবি, গুজরাটে প্রায় এক হাজার বাঙালির উপর হামলা চালানো হয়েছে। শ্রমিক ও ছোট ব্যবসায়ীসহ অনেকের দোকান, বাড়ি ড্রাজার দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। একই ধরনের হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেছে উড়িষ্যাতেও, যেখানে পরিযায়ী শ্রমিক এবং বাংলাভাষীদের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। গৌরাঙ্গ রুদ্রপাল বলেন, “এই ঘটনা শুধুমাত্র সাংবিধানিক অধিকারের লঙ্ঘন নয়, এটি জাতিগত বিদ্বেষকে উস্কে দেওয়ার এক বিপজ্জনক প্রবণতা। ভারতবর্ষ বহু ভাষাভাষীর মিলিত দেশ। সেখানে ভাষার ভিত্তিতে বৈষম্য বা হামলা কখনওই মেনে নেওয়া যায় না।” তিনি দাবি করেন, অবিলম্বে আক্রান্ত বাঙালিদের সুরক্ষা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি তিনি কেন্দ্র ও সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারগুলির দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, “ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে হবে।” “আমরা বাঙালি” সংগঠনের পক্ষ থেকে এই ঘটনার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার কথাও ঘোষণা করা হয়েছে। এই ঘটনার পর রাজ্য জুড়ে বাঙালি জনগণের মধ্যে উদ্বেগ ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলিও এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে শুরু করেছে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে প্রশাসন।