আগরতলা, ৩১ মে ২০২৫ঃ
দু’দিনের টানা ভারী বর্ষণে ত্রিপুরার একাধিক এলাকা বন্যা ও জলাবদ্ধতায় বিপর্যস্ত। পশ্চিম ত্রিপুরার জিরানিয়া এলাকায় বৃষ্টির জলে ডুবে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় পশ্চিম ত্রিপুরা ও খোয়াই জেলার ৫৭টি পরিবারের মোট ২০৭ জনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে এনে ত্রাণ শিবিরে রাখা হয়েছে।
ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর উত্তর ত্রিপুরা ও উনকোটি জেলার জন্য রেড অ্যালার্ট, এবং বাকি জেলার জন্য অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি করেছে। বর্তমানে আবহাওয়া ব্যবস্থাটি বাংলাদেশের উপর অবস্থান করছে, এবং ধীরে ধীরে দুর্বল হলেও রাজ্যে আরও ভারী বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জরুরি পর্যালোচনা বৈঠকে বসে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন। ইতিমধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক পরিকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১০৬টি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে ৩৩টি ঘর সম্পূর্ণ এবং ৭৩টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত।
বিভিন্ন এলাকায় গাছ ও বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে পড়ায় রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে পড়েছিল। তবে এসডিআরএফ, টিএসআর, বন দপ্তরের কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের তৎপরতায় রাস্তা পরিষ্কার করা হয়েছে। আগরতলার হাওড়া নদীর জলস্তর বিপদসীমা ১০.০১ মিটার ছুঁয়েছে, তবে এখন তা স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
রাজ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে মোহনভোগে — ২০৪.৮ মিলিমিটার। এরপর রয়েছে জিরানিয়ায় ১৫৮.৫ মিলিমিটার ও আগরতলায় ১২১.৬ মিলিমিটার। প্রশাসনের তরফ থেকে সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকতে, ঘরের বাইরে না বেরোতে এবং প্লাবনপ্রবণ এলাকা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ত্রাণ ও উদ্ধার কার্যক্রম জোরকদমে চলছে বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার।