আগরতলা, ০১ জুন, ২০২৫
ত্রিপুরার বিভিন্ন জেলায় ৬০টি ত্রাণ শিবিরে ২,৮০০টি পরিবারের প্রায় ১০,৬০০ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। পশ্চিম ত্রিপুরা জেলায় সর্বাধিক ৪৮টি, খোয়াই ও ঊনকোটি জেলায় ৩টি করে এবং উত্তর ত্রিপুরায় ৬টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। রবিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যে অতি বৃষ্টির ফলে উদ্ভূত বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে এই তথ্য তুলে ধরেন রাজস্ব দপ্তরের সচিব ব্রিজেশ পান্ডে। তিনি জানান, বৃষ্টির ফলে উত্তর ত্রিপুরা, ধলাই, ঊনকোটি এবং পশ্চিম ত্রিপুরায় ভূমিধস ও গাছ পড়ে সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হয়। এসডিআরএফ, বন দপ্তর, পিডব্লিউডি ও স্বেচ্ছাসেবীদের তৎপরতায় পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক করা হয়। দুর্গতদের উদ্ধার কাজে পশ্চিম ও ঊনকোটি জেলায় মোট ১৪টি উদ্ধারকারী দল নিযুক্ত হয়েছে। এ ছাড়াও এনডিআরএফ, আসাম রাইফেলস, সিভিল ডিফেন্স, আপদামিত্র এবং স্কাউট ও গাইডের স্বেচ্ছাসেবকরাও উদ্ধার কাজে যুক্ত রয়েছেন।
সচিব জানান, গোমতী, খোয়াই, সিপাহীজলা ও উত্তর ত্রিপুরা জেলায় মোট ৪৬টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে ১২টি সম্পূর্ণ এবং ৩৪টি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। হাওড়া নদীর জলস্তর আজ বিকাল ৫টা পর্যন্ত বিপদসীমার উপরে প্রবাহিত হলেও পরে তা কিছুটা হ্রাস পেয়েছে।
পশ্চিম ত্রিপুরার জেলাশাসক ড. বিশাল কুমার জানান, আগরতলা শহরে ১৭৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের পর, ১৭টি পাম্প ব্যবহার করে ২-৩ ঘণ্টার মধ্যে জমা জল নিষ্কাশন করা হয়েছে। রাজ্য সরকার সার্বিক পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে এবং জনগণকে প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা ও সরকারি নির্দেশিকা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে।