আগরতলা, ৯ মে ২০২৫ঃ
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বেড়ে চলা নিরাপত্তা উদ্বেগের প্রেক্ষিতে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক উচ্চপর্যায়ের নিরাপত্তা বৈঠক ডাকেন। মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে অনুষ্ঠিত এই রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বিএসএফ, আসাম রাইফেলস এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ আধিকারিকরা সহ উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা পুলিশের মহ নির্দেশক।
বৈঠকে সীমান্ত এলাকার নজরদারি জোরদার করা, স্পর্শকাতর এলাকায় যৌথ অভিযান চালানো এবং আধুনিক নজরদারি প্রযুক্তি ব্যবহারের বিষয়ে আলোচনা হয়। সূত্রের খবর, উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ সীমান্ত অঞ্চলে টহল বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
ত্রিপুরার এই নিরাপত্তা পর্যালোচনার মধ্যেই প্রতিবেশী রাজ্য মেঘালয়ও সীমান্ত নিয়ন্ত্রণে কঠোরতা এনেছে। ত্রিপুরার সঙ্গে বাংলাদেশের ৮৫৬ কিলোমিটারের আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকা রয়েছে। ২০২৪ সালের জুন জুলাই মাস থেকে বাংলাদেশের অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে ত্রিপুরা বাংলাদেশ সীমান্ত অতিরিক্ত সতর্কতা জারি করে রেখেছেন বিএসএফ। বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে সম্প্রতি ত্রিপুরা সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের মাত্রা বেড়ে গেছে। মানব পাচার বিভিন্ন রকম নিষিদ্ধ সামগ্রী পাচার ত্রিপুরা বাংলাদেশ সীমান্তের দীর্ঘদিনের সমস্যা। সার্বিক পরিস্থিতির বিচারে ত্রিপুরা বাংলাদেশ সীমান্তে নিরাপত্তার বহর আরো বাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অনুপ্রবেশ আটকাতে রাজ্যের অভ্যন্তরেও নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা।