আগরতলা, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫ঃ
ত্রিপুরা আবারও প্রমাণ করল, পরিকল্পিত উদ্যোগ ও প্রযুক্তিনির্ভর ব্যবস্থাপনা কিভাবে বিদ্যুৎ খাতে বিপ্লব ঘটাতে পারে। শনিবার সিকিমের রাজধানী গ্যাংটকে অনুষ্ঠিত উত্তর-পূর্ব ও পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর বিদ্যুৎ মন্ত্রীদের সম্মেলনে রাজ্যের স্মার্ট মিটার স্থাপন, সৌর শক্তির ব্যবহার এবং আধুনিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা প্রকল্পে অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করা হয়। সম্মেলনে ভাষণ প্রদানকালে রতন লাল নাথ জানান, ত্রিপুরা বর্তমানে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে স্মার্ট মিটার স্থাপনে প্রথম এবং গোটা দেশে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। বিদ্যুৎ বিতরণে আরডিএসএস প্রকল্পের অধীনে রাজ্যের অগ্রগতি দেশের মানচিত্রে উল্লেখযোগ্যভাবে নজর কেড়েছে। রাজ্যে এটি এন্ড সি ক্ষতির হার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে, যা বিদ্যুৎ ব্যবস্থার স্বচ্ছতা ও দক্ষতার প্রতীক বলে তিনি মন্তব্য করেন। মন্ত্রী বলেন, “ত্রিপুরা কেবল পরিসংখ্যানে নয়, বাস্তবেও বিদ্যুৎ খাতে এক বিপ্লব ঘটাচ্ছে। পরিকল্পনা ও প্রযুক্তিনির্ভর একনিষ্ঠ পরিশ্রমই এই সাফল্যের চাবিকাঠি।” তিনি জানান, গ্রীষ্মকালে রাজ্যের বিদ্যুৎ চাহিদা ৩৭০ মেগাওয়াট হলেও ৩৭২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে, ফলে রাজ্যে লোডশেডিংয়ের কোনো আশঙ্কা নেই। সম্মেলনে ত্রিপুরার পক্ষ থেকে ১৩৩১.২৬ কোটি টাকার এক বৃহৎ বিদ্যুৎ পরিবহন অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের প্রস্তাবও পেশ করা হয়। ২০৩১-৩২ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে, এই প্রকল্পের সম্পূর্ণ অর্থ কেন্দ্রীয় অনুদানের মাধ্যমে পাওয়ার দাবি জানান রতন বাবু।