আগরতলা, ২৩ মে ২০২৫
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এআই এবং ৫জি প্রযুক্তি হবে ভবিষ্যতের প্রবৃদ্ধি, উদ্ভাবন এবং সমৃদ্ধির প্রধান চালিকাশক্তি— এমনটাই মত জানালেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। শুক্রবার দিল্লির ভারত মণ্ডপমে ‘আইটি ফর অষ্টলক্সমিঃ ব্যায়ন্ড দ্যা বিট এন্ড বাইট, ইনটু এআই এন্ড ৫জি’ শীর্ষক আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘অষ্টলক্ষ্মী’ দৃষ্টিভঙ্গি উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিকে এক বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করেছে। এই রাজ্যগুলি শুধুমাত্র প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ নয়, এখানকার মানুষও প্রগতি এবং প্রযুক্তির দিকে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।”
মুখ্যমন্ত্রী জানান, ত্রিপুরা রাজ্যে ৫জি প্রযুক্তির বিস্তারে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে এবং ইতিমধ্যে রাজ্যের সমস্ত শহর এবং ৫৮৩টি গ্রাম এই প্রযুক্তির আওতায় এসেছে। রাজ্য সরকার ‘ইনফরমেশন টেকনোলজি পলিসি ২০২২’ এবং ‘ডাটা সেন্টার পলিসি ২০২১’ প্রণয়ন করেছে। এর আওতায় আগরতলায় এয়ারটেল এর একটি ডাটা সেন্টার স্থাপনের কাজ চলছে, যা উত্তর-পূর্ব ভারতের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হবে।
এআই এবং ৫জি প্রযুক্তির সম্ভাবনা সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এই দুই প্রযুক্তির সমন্বয়ে কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, পর্যটন, সংস্কৃতি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও সুশাসন— প্রতিটি ক্ষেত্রেই বিপ্লব ঘটানো সম্ভব।” এআই চালিত টেলিমেডিসিন প্ল্যাটফর্ম, স্মার্ট ক্লাসরুম, ৩ডি মার্কেটপ্লেস, সেন্সরযুক্ত কৃষিপদ্ধতি ইত্যাদি উদাহরণ দিয়ে তিনি এই সম্ভাবনার দিকটি তুলে ধরেন।
ত্রিপুরা সরকারের ডিজিটাল রূপান্তরের কথাও তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, রাজ্যে পেপারলেস প্রশাসন চালুর ফলে ফাইল নিষ্পত্তির সময় ৯ দিন থেকে কমে ৩ দিনে এসেছে এবং বছরে প্রায় ৫০ কোটি টাকা সাশ্রয় হচ্ছে।