আগরতলা জুন, ২০২৫ঃ
ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরের কল্যাণ সাগরে কচ্ছপ সংরক্ষণে এক গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনা গ্রহণ করল গোমতী জেলা প্রশাসন। গোমতী জেলার জেলা শাসক তড়িৎকান্তি চাকমার নেতৃত্বে বন বিভাগের আধিকারিক, আন্তর্জাতিক কচ্ছপ সংরক্ষণকারী সংস্থা ‘টাইটেল সারভাইবেল অ্যালায়েন্স ফাউন্ডেশন’-এর প্রতিনিধি দল এবং মাতাবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী মিলে আজ হ্রদ এলাকা পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনের মূল উদ্দেশ্য ছিল কচ্ছপের ডিম পাড়ার স্থানগুলির বর্তমান অবস্থা মূল্যায়ন এবং ভবিষ্যতে বাচ্চা কচ্ছপদের সুরক্ষিতভাবে বড় হওয়ার জন্য পরিবেশ উপযোগী ব্যবস্থা গ্রহণ। ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসন ও বন দফতরের যৌথ উদ্যোগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে নিরাপত্তা বেড়া তৈরি, বালির স্তরের সংরক্ষণ এবং জলমান নিয়মিত পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কল্যাণ হ্রদের জৈব বৈচিত্র্য এবং পরিবেশগত গুরুত্ব একদিকে যেমন কচ্ছপ প্রজাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি রাজ্যের পরিবেশ রক্ষার দিকেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। টাইটেল সারভাইভেল অ্যালায়েন্স ফাউন্ডেশন আগামী এক বছরের মধ্যে হ্রদের কচ্ছপ জনসংখ্যা, প্রজনন প্রক্রিয়া এবং পরিবেশগত অবস্থার ওপর বিস্তারিত গবেষণা চালাবে। গবেষণার ফলাফলের ভিত্তিতে রাজ্য সরকারকে উপযুক্ত দিকনির্দেশনা দেওয়া হবে।
স্থানীয় প্রশাসন, বিজ্ঞানী ও পঞ্চায়েতের এই সমন্বিত প্রচেষ্টাকে পরিবেশ রক্ষা এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল। কল্যাণ সাগর শুধুমাত্র ধর্মীয় দিক থেকেই নয়, জীববৈচিত্র্য এবং পরিবেশগত গুরুত্বেও ত্রিপুরার এক ঐতিহাসিক সম্পদ—যার সংরক্ষণে এবার শুরু হয়েছে নতুন অধ্যায়।