আগরতলা, ১৯ জুন ২০২৫:
দক্ষিণ ইন্দ্রনগরের যুবক শরিফুল হোসেন খুনকাণ্ডে দীর্ঘদিন পর রাজ্য পুলিশের তদন্তে নতুন মোড় এসেছে। গণ্ডাছড়ার এক দোকান থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রমাণ। পুলিশ ওই দোকানের একটি ফ্রিজ উদ্ধার করেছে, যেখানে শরিফুলের মৃতদেহ লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। একই সঙ্গে দোকানের সিসিটিভি ফুটেজও হাতে এসেছে তদন্তকারীদের।
ফুটেজে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, খুনের মূল অভিযুক্ত দিবাকর সাহার বাবা দীপক সাহা ও মা দেবীকা সাহা নিজেরাই মৃতদেহের ব্যাগটি দোকানে নিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া খুনে ব্যবহৃত গাড়িটি চালিয়েছেন দীপক সাহা নিজেই। এই তথ্য থেকেই প্রমাণিত হচ্ছে, হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত ছিলেন দিবাকরের বাবা-মাও।
এছাড়া দোকানের পেছনের একটি ঘর থেকে পুলিশ কিছু আপত্তিকর সামগ্রী উদ্ধার করেছে, যা দীপক সাহার পান-দোকানের আড়ালে অবৈধ ব্যবসার সম্ভাবনাকে আরও জোরালো করছে। উদ্ধার হওয়া ফ্রিজটিকেও পুলিশ ‘সায়েন্টিফিক এভিডেন্স’ হিসেবে বিবেচনা করছে।
সব মিলিয়ে এখনও এই হত্যাকাণ্ডের ‘মডাস অপারেন্ডি’ পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। তদন্তে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে এলেও পুরো ঘটনাটি এখনও ধোঁয়াশায় ঢাকা। আইন ও বিচার প্রক্রিয়ায় সঠিক রায় আনতে হলে তদন্তে আরও গভীরতা ও নিরপেক্ষতা জরুরি বলে মনে করছেন আইনজীবী মহল।
রাজ্য পুলিশের একাংশের প্রচারমূলক তৎপরতা ও প্রমাণ সুরক্ষায় শৈথিল্য নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। এখন দেখার, এই চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডে আদৌ কি সত্য উদঘাটিত হবে, নাকি আবারও প্রমাণের অভাবে খালাস পেয়ে যাবে অপরাধীরা।