আগরতলা, ২১ জুন, ২০২৫ঃ
যোগব্যায়াম ভারতীয় সভ্যতার অবিচ্ছেদ্য অংশ, যা প্রাচীন মুনিঋষিদের সাধনায় গড়ে উঠেছে। আজ তা গোটা বিশ্বের স্বাস্থ্য সচেতনতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। রাজ্য যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের উদ্যোগে এবং আয়ুষ মিশনের সহযোগিতায় আয়োজিত আন্তর্জাতিক যোগা দিবস অনুষ্ঠানে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। এদিন বিশ্বজুড়ে পালিত হয় ১১তম আন্তর্জাতিক যোগা দিবস। অনুষ্ঠানের মুখ্যমন্ত্রী জানান, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রস্তাবের ভিত্তিতে রাষ্ট্রসংঘ ২১ জুনকে আন্তর্জাতিক যোগা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে এবং ২০১৫ সাল থেকে তা পালন শুরু হয়।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “যোগব্যায়াম শরীর ও মনের ক্লান্তি দূর করে, ইতিবাচক মানসিকতা গড়ে তোলে এবং আত্মপরিচয় লাভের এক উৎকৃষ্ট পথ।” তিনি ছাত্রছাত্রীদের মোবাইল ব্যবহারে সংযম রেখে নিয়মিত যোগব্যায়ামের অভ্যাস গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের যুব বিষয়ক ও ক্রীড়ামন্ত্রী টিংকু রায়, যিনি জানান, রাজ্যের প্রতিটি জেলা, মহকুমা ও ব্লক স্তরে আজকের দিনটি পালিত হচ্ছে। বিশেষভাবে শৈবতীর্থ ঊনকোটি এবং নীরমহলে আইকনিক সেন্টার হিসেবে যোগা কর্মসূচি আয়োজিত হয়েছে। তিনি জানান, রাজ্যে যোগা পার্ক ও কেন্দ্রীয় যোগ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
এবারকার আন্তর্জাতিক যোগা দিবসের মূল প্রতিপাদ্য ছিল “যোগা ফর ওয়ান আর্থ, ওয়ান হেলথ”, যা মানুষ, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার বার্তা বহন করে।