আগরতলা, ২৩ জুন ২০২৫ঃ
ত্রিপুরায় কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তর চলতি খরিফ মরশুমে হাইব্রিড এবং সুগন্ধি ধানের চাষে ব্যাপক পরিকল্পনা নিয়েছে। সোমবার আরুন্ধতিনগরের স্টেট অ্যাগ্রিকালচারাল রিসার্চ সেন্টারে আয়োজিত এক পর্যালোচনা সভায় কৃষিমন্ত্রী রতন লাল নাথ জানান, রাজ্যজুড়ে ২৫,০০০ হেক্টরে হাইব্রিড এবং ৫০০ হেক্টরে সুগন্ধি ধানের চাষ করা হবে। এর সঙ্গে ১,৩০০ হেক্টর জমিতে নতুন ফলের বাগান গড়ে তোলার পরিকল্পনাও রয়েছে।
মন্ত্রী জানান, মুখ্যমন্ত্রীর ইন্টিগ্রেটেড ক্রপ ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম এর অধীনে ৪৭,৯৪৬ হেক্টরে উন্নত মানের ধান চাষের জন্য কৃষকদের হেক্টরপ্রতি ৫,৬৫০ এবং হাইব্রিড ধানের চাষে ৯,০০০ করে সহায়তা প্রদান করা হবে। আধুনিক ও বৈজ্ঞানিক কৃষি ব্যবস্থার মাধ্যমে হেক্টরপ্রতি উৎপাদন ২ মেট্রিক টন বৃদ্ধির লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
সভায় আরও জানানো হয়, রাজ্যে ৫০০ হেক্টরে সুগন্ধি ধান, ১,০০০ হেক্টরে মসকালাই ও ৫০০ হেক্টরে আমন্ড প্রদর্শনী চাষ করা হবে। পাশাপাশি, রুরাল অ্যাগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পে ২২৫টি পিগারি, পোল্ট্রি ও মাছ চাষের ইউনিট বিতরণ করা হবে। ইতিমধ্যে ৫২টি গ্রামীণ হাটের উন্নয়ন কাজ শুরু হয়েছে।
কৃষকদের জন্য যন্ত্রপাতি বিতরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ৪৫,০০০টি সয়েল হেলথ কার্ড, ১,৫৫০টি পাওয়ার টিলার, ১,০০০টি পাম্পসেট, ৫,০০০টি স্প্রে মেশিন, ৩,০০০টি হুইং মেশিন ও ১০ লক্ষ টাকার কৃষি যন্ত্রপাতি দিয়ে ১০০টি ফার্ম মেশিনারি ব্যাঙ্ক গঠন।
মন্ত্রী রতন লাল নাথ জানান, এই প্রথমবার রাজ্যে পানের চাষে সরকারি প্রণোদনা এবং সাবসিডির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তিনি জানান, “ভিকসিত কৃষি সংকল্প অভিযান”-এর সফল বাস্তবায়নের জন্য আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে ‘এক ত্রিপুরা, শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা’ গঠনের লক্ষ্যে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।