আগরতলা, ৫ জুলাই, ২০২৫ঃ
শিক্ষার্থীদের কেবল পাঠ্যবইয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ না রেখে, তাদের মধ্যে মূল্যবোধ, চারিত্রিক বিকাশ ও জাতি গঠনের শিক্ষায় অনুপ্রাণিত করতে হবে, এমন বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। শুক্রবার আগরতলার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরেই সূচনা হল ত্রিপুরা স্কুল কোয়ালিটি স্টুডেন্ট এন্ড এক্রিডিটেশন ফ্রেমওয়ার্ক এর, যা রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থায় নতুন যাত্রার দিশা দেখাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
জাতীয় শিক্ষানীতির নির্দেশনায় ২০২০ সাল থেকে ত্রিপুরার শিক্ষা ব্যবস্থায় শুরু হয়েছে কাঠামোগত পরিবর্তন। ইতিমধ্যেই রাজ্যে ১,৪৪০টি বিদ্যালয়কে একত্র করে গঠিত হয়েছে ১২৭টি বিদ্যালয় কমপ্লেক্স। এই কাঠামোতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও প্রশাসনিক অংশীদারদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ চলছে। বিশেষত দক্ষিণ ত্রিপুরা এবং ধোলাই জেলার শিক্ষাক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন দৃশ্যমান হয়েছে।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের বিশেষ সচিব রাভেল হেমেন্দ্রকুমার, অধিকর্তা এনসি শর্মা সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। টিএসকিউএএএফ সূচনার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কমপ্লেক্স লিডার শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সংবর্ধনাও জানানো হয়।
মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ভাষণে জানান, সরকার শিক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে এবং ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহিত করতে নানাবিধ উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। পাশাপাশি তিনি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রতি আহ্বান জানান, যেন তারা গতানুগতিক পাঠ্যক্রমের বাইরে গিয়ে আদর্শিক ও নৈতিক শিক্ষায়ও ছাত্রদের পথপ্রদর্শক হন।
শিক্ষাবিদদের মতে, টিএসকিউএএএফ-এর সূচনা রাজ্যে শিক্ষার মানোন্নয়নে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। তবে এই উদ্যোগ কতটা কার্যকর এবং স্থায়ী প্রভাব ফেলবে, তা ভবিষ্যতেই নির্ধারিত হবে।