আগরতলা, ৯ জুলাই,২০২৫ঃ
দেশের ১০টি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন এবং কৃষক ও গ্রামীণ শ্রমিক সংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চের ডাকে বুধবার সারা ভারতজুড়ে সাধারণ ধর্মঘট পালিত হলেও ত্রিপুরা রাজ্যে এই ধর্মঘটের কোনো প্রভাব পড়েনি। বরং রাজ্যজুড়ে জনজীবন ছিল একেবারে স্বাভাবিক ছন্দে।
ধর্মঘট আহ্বানকারী সংগঠনগুলোর দাবি ছিল নতুন শ্রম কোড বাতিল, শ্রমিক স্বার্থে সংস্কার, ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধি সহ মোট ১৭ দফা দাবি। বাম দল সিপিআই(এম) এই আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছে এবং রাজ্যজুড়ে প্রচারও চালিয়েছে। তবুও বুধবার সকালে আগরতলা শহরে দোকানপাট খোলা দেখা যায়, পাশাপাশি স্বাভাবিকভাবে চলেছে যানবাহন, রিকশা ও অন্যান্য পরিষেবা।
পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার পুলিশ সুপার কিরণ কুমার জানান, রাজ্যে ধর্মঘটের কোনো প্রভাব দেখা যায়নি এবং কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর নেই। তিনি জানান, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় নজরদারি চালানো হয়েছে এবং আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে।
সরকারি তরফ থেকেও আগেই জানানো হয়েছিল যে, ৯ জুলাই ধর্মঘটের দিন রাজ্য সরকারের অধীনস্থ সমস্ত অফিস এবং সরকার অধিগৃহীত সংস্থাগুলি স্বাভাবিকভাবে খোলা থাকবে। সেই অনুসারে, সরকারি কর্মচারীদেরও অফিসে উপস্থিত থেকে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই নির্দেশ মেনেই এদিন সমস্ত সরকারি প্রতিষ্ঠান স্বাভাবিকভাবে চালু ছিল।
বর্ষার কারণে রাজ্যে দুই দিন ধরেই বৃষ্টি চললেও ধর্মঘটকে ঘিরে জনজীবনে কোনও ব্যাঘাত ঘটেনি। ব্যবসায়ী, পরিবহণকর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ পর্যন্ত সকলে ধর্মঘটকে বয়কট করেছে বলেই মনে করছে প্রশাসন।
সব মিলিয়ে, দেশের অন্যান্য অংশে ধর্মঘটের ছাপ পড়লেও ত্রিপুরা রাজ্য ছিল একেবারে ধর্মঘট-বিরোধী মনোভাবে চলমান — শান্তিপূর্ণ এবং স্বাভাবিক।