আগরতলা, ২২ জুলাই, ২০২৫ঃ
ত্রিপুরায় সম্প্রতি গঠিত স্পেশাল টাস্ক ফোর্স, এসটিএফ নিয়ে জনগণের মধ্যে যে বিভ্রান্তি ও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, তা নিরসনে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে রাজ্যের বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মা একটি তিন পৃষ্ঠার গুরুত্বপূর্ণ চিঠি পাঠিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে লেখা এই চিঠিতে তিনি লিখিতভাবে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর চেয়েছেন, যা রাজ্যবাসীর স্বার্থে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক বলে দাবি করেছেন তিনি।
বিধায়ক দেববর্মা তাঁর চিঠিতে জানান, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে যে, অনুপ্রবেশ রোধে রাজ্যে একটি বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে। কিন্তু এই ফোর্সের কার্যক্রম, কাঠামো এবং সদস্যদের পরিচয় নিয়ে স্পষ্ট কোনও সরকারি তথ্য প্রকাশ্যে আসেনি। শুধুমাত্র কয়েকজন পুলিশ অফিসারের নাম প্রকাশ পেয়েছে, যা যথেষ্ট নয় বলে তিনি মনে করছেন।
এই প্রেক্ষিতে তিনি ১১টি নির্দিষ্ট প্রশ্ন উত্থাপন করেন।
তিনি প্রশ্ন তোলেন যে, ১৫ জুলাই ২০২৫-এ গঠিত এসটিএফ এর অন্তর্ভুক্ত পুলিশ অফিসারদের একযোগে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে, এই টাস্ক ফোর্স আদৌ বর্তমানে কার্যকর অবস্থায় আছে কি না, সেই বিষয়ে স্পষ্টতা প্রয়োজন।
চিঠিতে উল্লেখযোগ্যভাবে বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মা ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের পর পূর্ব বাংলা থেকে আগত শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া যাবে না— এই মর্মে কেন্দ্রের একটি এক্সপ্রেস নির্দেশনার কথা তুলে ধরেন এবং প্রশ্ন করেন, এই তারিখের পরে আগতরা ত্রিপুরায় নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্য কি না। পাশাপাশি তিনি সিটিজেনশিপ এমেনমেন্ট ২০১৪ পর্যন্ত প্রযোজ্য হলেও, ষষ্ঠ তফসিলভুক্ত এলাকাগুলিতে আইনটি প্রযোজ্য নয় বলে সংবিধানে যে বিধান রয়েছে, সেই অনুযায়ী টিটিএএডিসি এলাকায় সিএএ কার্যকর হবে কি না, তাও জানতে চান।