আগরতলা, ২৬ জুলাই, ২০২৫ঃ
“ছাত্রছাত্রীদের বিদ্যালয় জীবন থেকেই আত্মপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে সমাজের কল্যাণে কাজ করার মানসিকতা তৈরি করতে হবে। শিক্ষা ও জ্ঞানের মাধ্যমেই অন্ধকার থেকে আলোর পথে যাত্রা সম্ভব।” শনিবার ত্রিপুরা বোর্ড এবং সেন্ট্রাল বোর্ড পরীক্ষায় উত্তীর্ণ রাজ্যের বিভিন্ন বোর্ডিং হাউসে বসবাসকারী জনজাতি ছাত্রছাত্রীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। অল ত্রিপুরা এনজিও বোর্ডিং ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট এবং অল ত্রিপুরা এনজিও বোর্ডিং ডেভেলপমেন্ট কমিটির যৌথ উদ্যোগে শনিবার আগরতলা রবীন্দ্রশতবার্ষিকী ভবনে ত্রিপুরা বোর্ড এবং সেন্ট্রাল বোর্ড পরীক্ষায় উত্তীর্ণ রাজ্যের বিভিন্ন বোর্ডিং হাউসে বসবাসকারী জনজাতি ছাত্রছাত্রীদের সংবর্ধনা জানানো হয়। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী জানান, দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে জনজাতিদের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ‘ধরতি আবা জনজাতীয় গ্রাম উৎকর্ষ অভিযান’ চালু হয়েছে। রাজ্যেও এই অভিযানের আওতায় বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। রাজ্যের জনজাতি অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে শিক্ষার পরিকাঠামো, পানীয় জল, স্বাস্থ্য, কৃষি, বন ও মৎস্য চাষে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাজ চলছে।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে জনজাতি ছাত্রছাত্রীদের হোস্টেল উন্নয়নের জন্য রাজ্য সরকার ২৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে। পাশাপাশি জনজাতিদের শিক্ষা ও সংস্কৃতির বিকাশে ধারাবাহিকভাবে অর্থ বিনিয়োগ করা হচ্ছে। আগামি দিনে আরও ২০টি নতুন হোস্টেল নির্মাণের পরিকল্পনাও রয়েছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত জনজাতি কল্যাণমন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা বলেন, “শিক্ষা ছাড়া কোনও জাতির উন্নয়ন সম্ভব নয়। রাজ্য সরকার জনজাতি ছাত্রছাত্রীদের জন্য স্কলারশিপসহ একাধিক শিক্ষা সহায়ক প্রকল্প চালু করেছে।”