আগরতলা, ২৯ জুলাই, ২০২৫ঃ
জনজাতি ছাত্রছাত্রীদের উচ্চশিক্ষায় আরও সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে ত্রিপুরা রাজ্যে ৭টি নতুন ছাত্রাবাস নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আজ দক্ষিণ ত্রিপুরার শান্তিরবাজার থেকে ভার্চুয়ালি এই প্রকল্পগুলির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। “পিএম জনমন” এবং “ধরতি আবা জনভাগিদারী গ্রাম উৎকর্ষ অভিযান” প্রকল্পের আওতায় এই উন্নয়নমূলক কাজ শুরু হয়েছে।
এই ছাত্রাবাসগুলি নির্মাণ করা হবে দক্ষিণ ত্রিপুরার বগাফা ও জোলাইবাড়ি ব্লকের ছয়টি স্কুল প্রাঙ্গণে। স্কুলগুলি হল—গোবিন্দবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়, নারাইফাং উচ্চ বিদ্যালয় (ছেলে ও মেয়ে বিভাগ পৃথকভাবে), বিনয় প্রাসাদ পাড়া উচ্চ বিদ্যালয় এবং কৃষ্ণরাম পাড়া উচ্চ বিদ্যালয় (ছেলে ও মেয়ে বিভাগ পৃথকভাবে)। প্রতিটি ছাত্রাবাস নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা।
মূল অনুষ্ঠানটি কোয়াইফা কমিউনিটি হলে অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া। তিনি বলেন, “শিক্ষা ছাড়া কোনও সমাজের প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব নয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জনজাতি সম্প্রদায়ের শিক্ষা উন্নয়নের জন্য একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। রাজ্যে একলব্য স্কুলের সংখ্যা ২১-এ উন্নীত হয়েছে এবং ২৭টি নতুন ছাত্রাবাস নির্মাণের পরিকল্পনা চলছে।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জোলাইবাড়ি বিএসি’র চেয়ারম্যান অশোক মগ, দক্ষিণ ত্রিপুরার জেলা শাসক মহাম্মদ সাজ্জাত পি, শিক্ষা আধিকারিক দিলীপ দেববর্মা এবং পঞ্চায়েত ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
অন্যদিকে, আজ পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার হেজামারা ব্লকের রাধানগর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রাবাস নির্মাণেরও ভার্চুয়াল ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী। ৫০ আসনের এই ছাত্রাবাস নির্মাণে খরচ হবে ২ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা। এই উপলক্ষে স্থানীয়ভাবে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এডিসি-র শিক্ষা বিভাগের কার্যনির্বাহী সদস্য রবীন্দ্র দেববর্মা, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিশ্বজিৎ শীল, বিএসি’র চেয়ারম্যান সুনীল দেববর্মা, মহকুমা শাসক সুভাষ দত্তসহ অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
সরকারের এই উদ্যোগে জনজাতি ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষায় উৎসাহ এবং শিক্ষা পরিকাঠামোর উন্নয়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন নেতৃবৃন্দ।