আগরতলা, ৩১ জুলাই, ২০২৫
ত্রিপুরা রাজ্য শিক্ষক নিয়োগের জন্য এসটিজিটি পরীক্ষা ককবরক ভাষাকে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি তুলল তুইপ্রা স্টুডেন্টস ফেডারেশন, টিএসএফ। বৃহস্পতিবার সংগঠনের একটি প্রতিনিধিদল ত্রিপুরা টিচার্স রিক্রুটমেন্ট বোর্ড, টিআরবিটি এর চেয়ারম্যান প্রত্যুষ রঞ্জন দেবের সঙ্গে দেখা করে এই দাবি পেশ করে।
টিএসএফ-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, ককবরক রাজ্যের সরকারি স্বীকৃত ভাষা হওয়ায় এসটিজিটি পরীক্ষায় বাংলা ও ইংরেজির পাশাপাশি ককবরক ভাষাতেও প্রশ্নপত্র থাকা উচিত। ছাত্রছাত্রীদের মাতৃভাষায় পড়াশোনার সুযোগ নিশ্চিত করতে হলে শিক্ষকদেরও সেই ভাষায় প্রশিক্ষিত হওয়া জরুরি। সংগঠন আরও দাবি করেছে, যেহেতু রাজ্য সরকার পরিচালিত টেট পরীক্ষায় ককবরক ভাষায় প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়, তাই একই নীতি এসটিজিটি পরীক্ষাতেও প্রযোজ্য হওয়া উচিত।
টিএসএফ যুক্তি তুলে ধরে বলেছে, জাতীয় শিক্ষানীতিতেও মাতৃভাষায় শিক্ষাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সেই নীতির আলোকে শিক্ষার্থীদের মাতৃভাষায় শিখতে সহায়তা করতেই ককবরক ভাষায় প্রশ্নপত্র চালুর দাবিকে তারা ন্যায়সংগত মনে করছে।
এই বিষয়ে টিআরবিটি চেয়ারম্যান প্রত্যুষ রঞ্জন দেব জানান, তিনি সংগঠনের দাবিগুলি গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করেছেন এবং তা দফতরে পাঠানো হবে। সরকার এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগ এই বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
তিনি আরও জানান, কিছু সংগঠন এসটিজিটি পরীক্ষার সোশ্যাল সায়েন্স বিভাগের সিলেবাস সিবিএসই প্যাটার্নে করার দাবি জানিয়েছে, যাতে ভাষা বিষয়ের পরীক্ষা বাদ দিয়ে শুধুমাত্র সমাজ বিজ্ঞানের ওপরেই পরীক্ষা নেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, টিএসএফ দীর্ঘদিন ধরেই ককবরক ভাষায় রোমান লিপি চালুর দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছে। সংগঠনটি ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ পরিচালিত ককবরক ভাষার পরীক্ষাতেও রোমান হরফে প্রশ্নপত্র চালুর দাবি জানিয়েছে। টিআরবিটি চেয়ারম্যান জানান, এর আগেও বিভিন্ন সংগঠন এসটিজিটি পরীক্ষায় মাতৃভাষা হিসেবে মিজো, চাকমা ও মনিপুরী ভাষা অন্তর্ভুক্ত করার দাবি তুলেছে।
এই দাবিগুলি শিক্ষা ব্যবস্থায় ভাষা বৈচিত্র্যের গুরুত্বকে সামনে এনে দিয়েছে এবং রাজ্যে বহুভাষিক শিক্ষার পরিকাঠামো আরও মজবুত করার আহ্বান তুলেছে।