আগরতলা, ২ আগস্ট, ২০২৫ঃ
“সনাতনী হিন্দু সেনা সংগঠনটি গঠিত হয়েছে হিন্দু সমাজে ধর্মীয় চেতনার জাগরণ, সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর হওয়া বঞ্চনার প্রতিবাদ এবং ‘লাভ জিহাদ’ ও ‘ল্যান্ড জিহাদ’-এর মতো হুমকি থেকে আমাদের কন্যাদের রক্ষার লক্ষ্যে।” শনিবার আগরতলায় সনাতনী হিন্দু সেনার প্রথম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে আইএসএ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বললেন ত্রিপুরার মন্ত্রী সুধাংশু দাস।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী সুধাংশু দাস বলেন, “আজকের আত্মকেন্দ্রিক সমাজে যারা স্বার্থ ছাড়াও সমাজ ও ধর্মের সেবায় কাজ করছেন, তাদের অবদান সত্যিই বিরল ও অনুকরণীয়।”
বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনার প্রসঙ্গে এসে মন্ত্রী বলেন, “যেখানে যেখানে হিন্দুরা সংখ্যালঘু, সেখানে তারা বিপদের মুখে। কিন্তু এই দুর্দশার অন্যতম কারণ আমাদের নিজেদের মধ্যে ঐক্যের অভাব। নিজেদের আত্মসমালোচনা করতে শিখতে হবে—কেন আমাদের পূর্বপুরুষদের জমি ছেড়ে আমাদের চলে যেতে হচ্ছে, সেটা ভাবার সময় এসেছে।”
তিনি রাজনৈতিক বিভাজনের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিয়ে বলেন, “ইজরায়েলের দিকে তাকান। মাত্র ৯০ লক্ষ জনসংখ্যা নিয়ে তারা নিজেদের অস্তিত্বের লড়াই লড়ে যাচ্ছে, কোনও রাজনৈতিক বিভাজন নেই। অথচ আমাদের সমাজ সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি বিভক্ত হয়ে গেছে। এই বিভাজন দূর করতে হবে।”
মন্ত্রী দাস অনুষ্ঠানের শেষে বলেন, “যদি আপনি সত্যিই ধর্মে বিশ্বাস করেন, তবে ধর্মের পথেই চলুন। আর যদি না করেন, তবে আগের মতোই থাকুন। কিন্তু যারা ধর্মে বিশ্বাসী, তাদের এক হতে হবে এবং ধর্মের পক্ষে দৃঢ়ভাবে দাঁড়াতে হবে।”