আগরতলা, ২৮ আগস্ট, ২০২৫ঃ
রাজ্যের সার্বিক অগ্রগতিতে কৃষকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য, বৃহস্পতিবার আগরতলায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সমন্বিত কৃষি ক্লাস্টার সম্পর্কিত জাতীয়স্তরের কর্মশালার উদ্বোধনকালে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা এই কথা বলেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের লক্ষ্য রাজ্যের নারীদের স্বনির্ভর করে তোলা এবং একটি আত্মনির্ভর রাজ্য গঠন করা। এর জন্য গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, জাতীয় গ্রামীণ জীবিকা মিশনের অধীনে ইন্টিগ্রেটেড ফার্মিং ক্লাস্টার কর্মসূচি গ্রামীণ নাগরিকদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
তিনি জানান, ইতিমধ্যেই ৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজ্যে ৮০টি ইন্টিগ্রেটেড ফার্মিং ক্লাস্টার স্থাপনের কাজ চলছে। প্রতিটি ক্লাস্টারের আওতায় ২৫০ থেকে ৩০০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে যুক্ত করা হবে। কৃষিসখী, পশুসখী, মৎস্যসখী ও কমিউনিটি রিসোর্স পার্সনালের মাধ্যমে কৃষকদের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা হবে।
তিনি বলেন, কৃষি ও প্রাণীসম্পদ নির্ভর জীবিকা অর্জনে এখন পর্যন্ত ৩ লক্ষ ১৩ হাজারেরও বেশি মহিলা কৃষককে সহায়তা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্যোগে গ্রামীণ মহিলাদের ‘লাখপতি দিদি’ গড়ে তোলার যে লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে, তাতে ত্রিপুরায় ইতিমধ্যেই ১ লক্ষ ৮ হাজার ২৮১ জন মহিলা সেই মর্যাদা অর্জন করেছেন।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যের গ্রামীণ মহিলারা বর্তমানে কৃষি নির্ভর কাজের পাশাপাশি হাঁস-মুরগি পালন, মৎস্যচাষ, মাইক্রো এন্টারপ্রাইজ, ক্যান্টিন ও ক্যাটারিং-এর মতো কর্মকাণ্ডে যুক্ত হয়ে স্বনির্ভরতার পথে এগিয়ে যাচ্ছেন। তিনদিনব্যাপী এই কর্মশালার আয়োজন করেছে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক ও ত্রিপুরা গ্রামীণ জীবিকা মিশন।