আগরতলা, ২৮ আগস্ট, ২০২৫ঃ
ত্রিপুরা সরকার গণবন্টন ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী, স্বচ্ছ ও জনমুখী করার উদ্যোগ নিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজ্যভিত্তিক গণবন্টন ব্যবস্থার সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের মতবিনিময় সভার উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন জনসংভরণ ও ক্রেতা স্বার্থ বিষয়ক দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।
এই অনুষ্ঠানে দপ্তরের বিভিন্ন স্তরের আধিকারিক, রেশন ডিলার ও পরিবহন কনট্রাকটররা উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী ভাষণে খাদ্যমন্ত্রী জানান, ভোক্তাদের সুবিধার্থে পুরনো রেশন কার্ডের পরিবর্তে নতুন পিভিসি রেশন কার্ড চালু করা হয়েছে এবং আজ থেকেই সেগুলির বিলি শুরু হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ৪ লক্ষ ৭৮ হাজার পিভিসি রেশন কার্ড তৈরি হয়েছে। প্রতিটি এলাকার রেশন ডিলাররা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে ছোট ছোট অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই কার্ড বিলি করবেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, গণবন্টন ব্যবস্থায় ত্রিপুরা উত্তর-পূর্বাঞ্চলে প্রথম এবং সারা দেশে তৃতীয় বা চতুর্থ স্থানে রয়েছে। ই-কেওয়াইসি ক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই ৮১ শতাংশ সাফল্য অর্জন করেছে রাজ্য, শীঘ্রই এটিকে ১০০ শতাংশে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে। পাশাপাশি তিনি জানান, প্রথম পর্যায়ে ৬০০টি রেশন শপকে মডেল রেশন শপে রূপান্তরের কাজ চলছে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, “গণবন্টন ব্যবস্থায় যাতে কোনও নেতিবাচক পরিস্থিতি তৈরি না হয়, সেদিকে নজর রাখতে হবে। রেশন দোকানে খাদ্যদ্রব্যের গুণগতমান বজায় রাখা এবং যথাসময়ে সরবরাহ নিশ্চিত করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।” তিনি আরও জানান, রেশন ডিলারদের কমিশন ১৪৩ টাকা থেকে বাড়িয়ে বর্তমানে ১৮০ টাকা করা হয়েছে। এছাড়া মশুর ডালে প্রতি কেজি ২৫ টাকা ও চিনিতে প্রতি কেজি ১৫ টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে সরকার। আসন্ন দুর্গোৎসবে ভোক্তাদের আটা, ময়দা ও সুজি দেওয়া হবে।