আগরতলা, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ঃ
গ্রামের আর্থসামাজিক উন্নয়নের উপর নির্ভর করেই রাজ্য ও দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব। সোমবার আগরতলার অরুন্ধতীনগরে স্টেট পঞ্চায়েত রিসোর্স সেন্টারে দু’দিনব্যাপী পঞ্চায়েতরাজ সক্ষমতা বৃদ্ধি কর্মসূচির উদ্বোধন করে এই বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতের সংবিধান দ্বারা স্বীকৃত ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ব্যবস্থা গণতন্ত্রের এক অমূল্য স্তম্ভ। গ্রামীণ এলাকা শক্তিশালী হলে রাজ্য শক্তিশালী হবে। তাই প্রতিটি জনপ্রতিনিধিকে জনগণের আস্থা ও স্বচ্ছতা বজায় রেখে কাজ করতে হবে। তিনি আরও জানান, গ্রামীণ উন্নয়ন কেবল প্রকল্প বিতরণে সীমাবদ্ধ নয়, বরং অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিকাশ নিশ্চিত করাই এর মূল লক্ষ্য। দেশের মধ্যে প্রথমবারের মতো রাজ্যের পঞ্চায়েত পর্যায়ে ই-অফিস চালু করা হয়েছে। এর ফলে ত্রিপুরা জাতীয় স্তরে ৭টি পুরস্কার অর্জন করেছে এবং আড়াই লক্ষ পঞ্চায়েতের প্রতিযোগিতায় রাজ্যের একটি পঞ্চায়েত প্রথম স্থান দখল করেছে।
পঞ্চায়েত ডেভোলিউশন ইনডেক্সে বর্তমানে ত্রিপুরা দেশের সপ্তম স্থানে রয়েছে, যেখানে ২০১৫ সালে স্থান ছিল ১৩তম। এছাড়া পঞ্চায়েত অ্যাডভান্সমেন্ট ইনডেক্সে রাজ্যের ৪২টি পঞ্চায়েত গ্রেড এ অর্জন করেছে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলে মাথাপিছু আয়ের হিসাবে ত্রিপুরা দ্বিতীয় এবং জিএসডিপি বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও আসামের পরেই রয়েছে।
তিনি স্পষ্ট করে বলেন, কাজের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতাই হবে সরকারের মূল লক্ষ্য। স্বচ্ছতা বজায় রেখেই ত্রিপুরাকে উন্নয়নের শীর্ষে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।