আগরতলা, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ঃ
পুঁথিগত বিদ্যার বাইরেও ছাত্রছাত্রীদের নৈতিকতা, শিষ্টাচার ও ন্যায়বোধে শিক্ষিত করাই শিক্ষকদের প্রধান দায়িত্ব। ৬৪তম রাজ্যস্তরীয় শিক্ষক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। তিনি বলেন, শিক্ষক সমাজই ছাত্রছাত্রীদের জীবনের প্রকৃত পথপ্রদর্শক ও জীবন গড়ার মূল কারিগর। তিনি শিক্ষকদের ‘রোল মডেল’ আখ্যা দিয়ে সমাজ গঠনে তাঁদের অপরিসীম ভূমিকার কথা তুলে ধরেন। মুখ্যমন্ত্রী এদিন রাজ্যের শিক্ষা পরিকাঠামোর উন্নয়ন প্রসঙ্গে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় সংখ্যা বৃদ্ধি, এমবিবিএস, ইঞ্জিনিয়ারিং, নার্সিং সহ উচ্চশিক্ষার নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বিদ্যালয় উন্নয়ন, ‘নিপুন ত্রিপুরা’, ‘বিদ্যাসেতু’, ‘সুপার ৩০’ প্রভৃতি কর্মসূচির ফলে শিক্ষার মানোন্নয়ন ঘটছে।
এদিন বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের আয়োজনে ড. অতুল দেববর্মাকে ‘পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর পুরস্কার’, ডি সি পাড়া হেমন্ত স্মৃতি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা প্রণতী দেববর্মাকে ‘মহারানী তুলসীবতি পুরস্কার’ এবং বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সমীর চক্রবর্তীকে ‘ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি পুরস্কার’ প্রদান করা হয়। পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৩৬ জন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে দেওয়া হয় ‘শিক্ষক সম্মাননা ২০২৫’। অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিশেষ সচিব রাভেল হেমেন্দ্র কুমার জানান, বিজ্ঞানভিত্তিক ও কারিগরি শিক্ষার বর্তমান সময়ে শিক্ষকদেরও নিজেদের আপডেট রাখা জরুরি। অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিথিরা ড. সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণানের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং তাঁর জীবনদর্শন নিয়ে স্বল্প দৈর্ঘ্যের তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।