আগরতলা, ৬ নভেম্বর, ২০২৫ঃ
ত্রিপুরায় আলু উৎপাদনে আত্মনির্ভরতা অর্জনের লক্ষ্যে বড় পদক্ষেপ নিচ্ছে রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার মহাকরণে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কৃষিমন্ত্রী রতন লাল নাথ জানান, এ বছর রাজ্যের মোট ৬ হাজার কৃষককে এআরসি পদ্ধতিতে আলু চাষের জন্য আর্থিক সহায়তা ও বীজ দেওয়া হবে।
মন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক কৃষককে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ২,০০০ টাকা নগদ সহায়তা এবং ১,০০০ টাকার কৃষি সামগ্রী দেওয়া হবে। এই প্রকল্পে সরকারের মোট ব্যয় হবে প্রায় ১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা।
বর্তমানে রাজ্যে প্রায় ২৩,৭০০ জন কৃষক ৪৭,৩৪১ কানি জমিতে আলু চাষ করেন। প্রচলিত পদ্ধতিতে প্রতি কানিতে গড় ফলন ২,৫০০ থেকে ৩,০০০ কেজি হলেও, এআরসি পদ্ধতিতে তা বেড়ে ৯,০০০ থেকে ১০,০০০ কেজি পর্যন্ত হচ্ছে বলে মন্ত্রী জানান।
তিনি আরও বলেন, ২০২৮-২৯ সালের মধ্যে ত্রিপুরা আলুর বীজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উঠবে এবং ২০২৯-৩০ সালের মধ্যে রাজ্য খাবার আলু উৎপাদনেও আত্মনির্ভর হবে।
মন্ত্রী বলেন, ২০২৩ সালে পরীক্ষামূলকভাবে ১০০ জন কৃষকের মাধ্যমে এই পদ্ধতির প্রয়োগ শুরু হয়েছিল। ফলাফল আশাব্যঞ্জক হওয়ায় ২০২৪ সালে কৃষকের সংখ্যা বাড়িয়ে ৪০০ করা হয়। এবার আরকেবিওয়াই প্রকল্পের আওতায় ৪,০০০ কৃষক এবং ওয়াটারশেড ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পের আওতায় আরও ২,০০০ কৃষককে এই সহায়তা দেওয়া হবে।