আগরতলা, ৫ এপ্রিল, ২০২৫ঃ
সরকারি জমির বন্দোবস্ত নিয়ে বিরোধীরা দুর্নীতির অভিযোগ তুলতেই নরে চরে বসেছে প্রশাসন। অভিযোগের গুরুত্ব বিবেচনা করে শনিবার রাজস্ব দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। শনিবার সচিবালয়ে রাজস্ব দপ্তরের রাজ্যস্তরীয় উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে জলাশয় ডাইভারশন এবং বরাদ্দকৃত জমি বিক্রয় ও হস্তান্তরের অনুমতি চেয়ে প্রস্তাবগুলো বিবেচনা করা হয়। বৈঠকে ১৪৯টি আবেদন বিবেচনায় নেওয়া হয়, যার মধ্যে ৬১টি আবেদন ছিল জলাশয় ডাইভারশনের অনুমতির জন্য এবং ৮৮টি আবেদন ছিল বরাদ্দকৃত জমি বিক্রয়ের জন্য। মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা জেলা প্রশাসনকে ভূমি রাজস্ব আইন ও নিয়ম নীতি কঠোরভাবে কার্যকর করার নির্দেশ দেন। তিনি আরও বলেন, জমি হস্তান্তর, নামজারি, কৃষি জমি ও জলাশয়ের ডাইভারশনের বিষয়গুলোতে কঠোর নজরদারি রাখতে হবে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, বরাদ্দকৃত জমি বিক্রির অনুমতির আবেদনগুলো খতিয়ে দেখতে মহকুমা শাসকের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হবে। এই কমিটি প্রতিটি আবেদনের সত্যতা ও প্রয়োজনীয়তা যাচাই করবে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, বেআইনী জমি সংক্রান্ত কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করছে। এছাড়াও, রাজস্ব দপ্তরের বিভিন্ন পদে নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে এবং জমি মালিকানার তথ্য সুরক্ষিত রাখতে সাইবার সিকিউরিটি অডিট করা হয়েছে। রাজস্ব প্রশাসনকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে বিভিন্ন সফটওয়ারের মাধ্যমে স্বচ্ছতা ও দক্ষতা আনা হয়েছে, যা নাগরিকদের উন্নত পরিষেবা প্রদান করবে। এই বৈঠক রাজ্য প্রশাসনের কর্মকাণ্ডে একটি নতুন দিগন্তের সূচনা করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।