আগরতলা, ২৭ জুন ২০২৫ঃ
ত্রিপুরা সরকার স্বচ্ছ নিয়োগ নীতির মাধ্যমে কর্মসংস্থানের নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে—এমনটাই দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডা. মানিক সাহা। শুক্রবার আগরতলার মুক্তধারা অডিটরিয়ামে আয়োজিত এক নিয়োগপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “চাকরি শুধু ব্যক্তি নয়, একটি পরিবারের ভবিষ্যৎ গড়ে দেয়।”
এই অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা দপ্তরে মোট ২২২ জনকে নিয়োগপত্র প্রদান করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী নিজে ৩০ জনের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন। তিনি জানান, ২০১৮ সাল থেকে জুন ২০২৫ পর্যন্ত রাজ্য সরকার ১৯,৪৮৪ জনকে সরকারি চাকরি দিয়েছে। এছাড়াও আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে ৫,৭০০ জন এবং সিকিউরিটি ও অন্যান্য পরিষেবায় ২,৯৮৭ জনকে নিয়োগ করা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ২০১৮-১৯ সালে রাজ্যে বেকারত্বের হার ছিল ১০ শতাংশ, যা এখন কমে দাঁড়িয়েছে ১.৭ শতাংশে। এটি জাতীয় গড় ৩.২ শতাংশের তুলনায় অনেক কম। তিনি জানান, বর্তমান সরকারের লক্ষ্য হলো মেধা ও দক্ষতার সমন্বয়ে চাকরি প্রদান এবং উচ্চশিক্ষার সুযোগকে আরও সম্প্রসারিত করা। এজন্য মহকুমা স্তরে কোচিং সেন্টারও চালু করা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “দেশের উন্নয়ন মানে কী, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তা করে দেখিয়েছেন। রাজ্যেও সেই পথেই এগোচ্ছে সরকার।” তিনি জানান, রাজ্যে ই-অফিস চালু হওয়ায় প্রশাসনিক কাজের গতি বেড়েছে এবং মাথাপিছু আয়ে ত্রিপুরা এখন উত্তর-পূর্বে দ্বিতীয় স্থানে। গত ছয় মাসে ৬৩৮ কোটি টাকার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে।
তিনি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির কথা বলার পাশাপাশি মহিলাদের সুরক্ষায় নতুন থানা স্থাপন এবং সমাজকে নেশামুক্ত করার আহ্বানও জানান।