আগরতলা, ২ জুলাই, ২০২৫ঃ
সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ এবং নাগরিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে রাজ্য সরকার নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বুধবার আগরতলার স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে পরিবহণ দপ্তরের উদ্যোগে এক বিশেষ অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার হাত ধরে ১৬টি বেসিক লাইফ সাপোর্টযুক্ত অ্যাম্বুলেন্স রাজ্য ট্রাফিক পুলিশ এবং ফায়ার অ্যান্ড ইমার্জেন্সি সার্ভিস দপ্তরের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সড়ক নিরাপত্তা শুধুমাত্র আইন দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হতে পারে না, বরং জনসচেতনতা ও সতর্কতার মাধ্যমেই দুর্ঘটনা এবং প্রাণহানি এড়ানো সম্ভব। প্রত্যেক নাগরিকের উচিত সড়ক আইন মেনে চলা এবং অন্যদেরও তা অনুসরণে উদ্বুদ্ধ করা।”
তিনি জানান, এই ১৬টি অ্যাম্বুলেন্স ক্রয়ে ব্যয় হয়েছে ৩ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকা। একই সঙ্গে রাজ্যের যানবাহনে ভেহিকেল লোকেশন ট্র্যাকিং এবং নজরদারি ব্যবস্থার সূচনাও করা হয়েছে, যা যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ সহায়ক হবে।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “সড়ক দুর্ঘটনা একটি জাতীয় ক্ষতি। এতে শুধু একজন মানুষের প্রাণ যায় না, একাধিক পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই বাস্তবতাকে সামনে রেখে রাজ্য সরকার সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণ করছে।”
তিনি পরিবহণ দপ্তরের ‘রাহ-বীর’ প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেন, যেখানে দুর্ঘটনায় আহতদের সাহায্য করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ২৫ হাজার টাকা পুরস্কার এবং শংসাপত্র প্রদান করা হয়। পাশাপাশি ‘হিট অ্যান্ড রান স্কিম’, ‘ভেহিকেল স্ক্র্যাপিং পলিসি’র মতো নানা উদ্যোগও তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে পরিবহণমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী জানান, সড়ক নিরাপত্তা জোরদারে বছরব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, “সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রযুক্তির ব্যবহারে আধুনিকীকরণ অত্যন্ত জরুরি।” তিনি ইন্টারসেপ্টার ভেহিকল, গুড সামারিটন অ্যাওয়ার্ড, ও ভি.এল.টি. ডিভাইস সংযোজনের মতো গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগের কথাও তুলে ধরেন।