আগরতলা, ৩১ জুলাই, ২০২৫ঃ
বর্তমানে রাজ্যের চিকিৎসকগণ অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা অর্জনের মধ্য দিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলি স্বনির্ভরভাবে পরিচালনা করছেন। ত্রিপুরা মেডিক্যাল কলেজে দু’দিনব্যাপী বৃক্ষরোপণ ও রক্তদান কর্মসূচির সূচনা করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। বৃহস্পতিবার ত্রিপুরা মেডিক্যাল কলেজ, রোটারি ক্লাব এবং ত্রিপুরা মেডিক্যাল ও নার্সিং কলেজ কর্মচারি সংঘের উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জটিল রোগের চিকিৎসা রাজ্যেই যাতে সম্ভব হয়, সে লক্ষ্যেই রাজ্য সরকার স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর ব্যাপক উন্নয়নে মনোযোগ দিয়েছে।
তিনি আরও জানান, বহির্রাজ্য থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের উপর নির্ভরতা কমিয়ে রাজ্যের চিকিৎসকদেরই এগিয়ে আসতে হবে। রাজ্যকে একটি ‘মেডিক্যাল হাব’ হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনায় কাজ করছে রাজ্য সরকার। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, ত্রিপুরা মেডিক্যাল কলেজ আজ উত্তর-পূর্ব ভারতের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিগণিত হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী ২০১৮ সালের পর রাজ্যের স্বাস্থ্য খাতে নেওয়া বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উল্লেখ করেন। তিনি জানান, ডেন্টাল কলেজ, নার্সিং কলেজ, ফার্মেসি কলেজ ছাড়াও এজিএমসি ও জিবিপি হাসপাতালে কর্পোরেট ধাঁচে ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে সুপার স্পেশালিটি ব্লক গড়ে তোলা হয়েছে। আইএলএস হাসপাতালের পাশে একটি আধুনিক চক্ষু হাসপাতাল স্থাপন নিয়েও পরিকল্পনা চলছে।