আগরতলা, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ঃ
দিব্যাঙ্গ ব্যক্তিরা সমাজেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ, তাদেরও সমান অধিকার ও সুযোগ দিতে হবে—এমন বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। শনিবার ‘সেবা পাক্ষিক-২০২৫’ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সঠিক পরিচর্যা, সচেতনতা সৃষ্টি এবং ভালোবাসার মাধ্যমে দিব্যাঙ্গজনরাও আত্মনির্ভরতার পথে এগিয়ে যেতে পারেন। সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তারা ইতিমধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন এবং অন্যদের অনুপ্রাণিত করছেন।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে দিব্যাঙ্গজনদের কল্যাণে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলির বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি জানান, চিফ মিনিস্টার্স স্কিম ফর পার্সনস উইথ ইন্টেলেকচুয়াল ডিজেবিলিটিস প্রকল্পের মাধ্যমে ৮৯১ জন দিব্যাঙ্গকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে, যার জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৪ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা। এছাড়া সামাজিক সহায়তা প্রকল্পের আওতায় বর্তমানে ১৯,৫৮২ জন দিব্যাঙ্গ ব্যক্তি প্রতি মাসে ২ হাজার টাকা ভাতা পাচ্ছেন।
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, দিব্যাঙ্গদের অধিকার রক্ষায় রাজ্য ও জেলাস্তরে কমিটি গঠন করা হয়েছে। বর্তমানে রাজ্যে রয়েছে ৮টি ডিডিআরসি। ইতিমধ্যেই ৪১,৮১২ জনকে ডিজেবিলিটি আইডেন্টিটি কার্ড দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রি ও পোস্ট মেট্রিক স্তরে দিব্যাঙ্গ ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে।
এদিন সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য জানান, কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত সেবা পাক্ষিক-২০২৫ পালিত হচ্ছে। তিনি বলেন, রাজ্য সরকার জনগণের প্রতিটি অংশকে সঙ্গে নিয়ে “এক ত্রিপুরা, শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা” গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছে।