আগরতলা, ১৬ অক্টোবর, ২০২৫ঃ
আগরতলায় বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে প্রতারণার শিকার এক তৃতীয় লিঙ্গের নারী কমলিকা দাস। তার উপর অমানুষিক নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
পশ্চিম থানার সূত্রে জানা গেছে, রাজনগরের বাসিন্দা জলিল মিয়া নামের এক ব্যক্তি “সুজিত দাস” নামে ভুয়া পরিচয় দিয়ে কমলিকা দাসের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে ও বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেয়। ১৫ অক্টোবর কমলিকা দাস পশ্চিম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন যে, ৮ অক্টোবর জলিল মিয়া বিয়ের কথা বলে তাঁকে নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে তিন দিন ধরে আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায়।
এর আগে, জলিল ওরফে রাকিব মিয়া কমলিকাকে ঘরোয়া অনুষ্ঠানের অজুহাতে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে উপস্থিত জলিলের পরিবারের সদস্যরা মিলে কমলিকাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে অস্ত্র দিয়ে শরীরে আঘাত, মাথার চুল ও ভ্রু কেটে ফেলা এবং লবণ জল দিয়ে স্নান করানোর মতো অমানবিক নির্যাতন চালায়। কমলিকার কাছ থেকে ১ লক্ষ ৪০ হাজার ৪৩৫ টাকা, একটি মোবাইল ফোন এবং প্রায় ২ ভরি সোনা লুট করে বড়জলা কালীমন্দিরের সামনে ফেলে যায় তারা।
সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
পুলিশ ইতিমধ্যে জলিল মিয়ার বাবা ও জলিল মিয়াকেও গ্রেফতার করেছে। সদর এইচডিপিও দেবপ্রসাদ রায় জানান, জলিল মিয়া নিজের অপরাধ স্বীকার করেছে।
এই অমানবিক ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন “আমাদের স্বাভিমান”