আগরতলা, ২৩ অক্টোবর, ২০২৫ঃ
অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে রাজ্য থেকে বহিষ্কারসহ আট দফা দাবিতে সিভিল সোসাইটি অফ ত্রিপুরার ডাকা ২৪ ঘণ্টার বনধে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজ্যজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। আগরতলাসহ রাজ্যের প্রায় ৪৫টি স্থানে আন্দোলনকারীরা পিকেটিংয়ে নামেন।
সূত্রে জানা গেছে, বড়মুড়া সাধুচন্দ্র পাড়ায় সকাল থেকেই পথ অবরোধ করে বিক্ষোভে সামিল হন আন্দোলনকারীরা। বড়মুড়া পাহাড় এলাকায় তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালের একটি অ্যাম্বুলেন্সকে আটকে দেওয়া হয়, পরে সেটিকে বাধ্য হয়ে আগরতলার জিবিপি হাসপাতাল ফিরে যেতে হয়েছে।
এদিকে, উত্তর গেইট এলাকায় পুলিশের সামনেই এক চিকিৎসককে হাসপাতালে যেতে বাধা দেন আন্দোলনকারীরা। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ধ্রুব নাথ। অভিযোগ, আন্দোলনকারীদের চাপে পড়ে পুলিশও চিকিৎসককে ফিরে যেতে বলেন।
জিরানিয়া রেলওয়ে স্টেশনের কাছে বীরগুদাস এলাকায় আগরতলা–করিমগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন থামিয়ে দেয় বনধ সমর্থনকারীরা। অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের দাবিতে রেললাইনে নেমে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন সিভিল সোসাইটি অফ ত্রিপুরা’র সদস্যরা।
লেম্বুছড়া, বেলফাং, সাব্রুম–আগরতলা জাতীয় সড়কের শাকবাড়ি ও সাঁচি রাম বাড়ির মধ্যবর্তী এলাকাতেও সকাল থেকেই টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ ও পিকেটিং চলে।
বনধ চলাকালীন রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে উত্তেজনা ছড়ালেও, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানিয়েছেন—এখনও পর্যন্ত কোনো বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
উত্তর গেইটে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন সিভিল সোসাইটি অফ ত্রিপুরার নেতা রঞ্জিত দেববর্মা। আন্দোলনকারীদের দাবি, রাজ্যে অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে, অন্যথায় এই আন্দোলন আরও তীব্র হবে।