আগরতলা, ২৩ অক্টোবর, ২০২৫ঃ
ত্রিপুরার অর্থনীতিতে জিএসটি হারের হ্রাস বিশেষ প্রভাব ফেলেছে। প্রেস ইনফর্মেশন ব্যুরোর তরফে ত্রিপুরা সরকারের বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরে দাবি করা হয়, হস্তচালিত তাঁত, চা, রেশম চাষ ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে জিএসটি ১২ থেকে ১৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত রাজ্যের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে তুলেছে। এর ফলে রাজ্যের গ্রামীণ জীবিকা, উৎপাদনশীলতা ও বাজার প্রতিযোগিতায় দৃশ্যমান উন্নতি দেখা যাচ্ছে।
তাই ফ্রান্সের রাজ্যের সরকারি সূত্রে জানা গেছে, হস্তচালিত তাঁত ও সেলাই করা পোশাকের উপর জিএসটি ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করায় প্রায় ১ লক্ষ ৩৭ হাজার পরিবার উপকৃত হয়েছে। প্যাকেটজাত চায়ের উপর কর ১৮ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশে নামানোয় ৫৪টি চা বাগান ও ২,৭৭৫ জন ক্ষুদ্র চাষীর আর্থিক সাশ্রয় হচ্ছে। একইভাবে রেশম চাষে কর ১২ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশে নামানোয় ১৫,৫৫০ জন চাষী উপকৃত হচ্ছেন। ফল ও উদ্ভিজ্জ জুস, বিশেষ করে জিআই-ট্যাগযুক্ত কুইন আনারসের রসের উপর জিএসটি হ্রাসে প্রায় ২,৮৪৮টি খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট লাভবান হয়েছে।
অর্থনীতিবিদদের মতে, করের হার হ্রাসের পদক্ষেপ ত্রিপুরার গ্রামীণ অর্থনীতিকে দৃঢ় করেছে। ক্ষুদ্র কৃষক, তাঁতি ও উদ্যোক্তারা এখন আরও সাশ্রয়ীভাবে উৎপাদন ও বিক্রি করতে পারছেন। এর ফলে রাজ্যের বাজার বেড়েছে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির নতুন সম্ভাবনা উন্মোচিত হয়েছে।