আগরতলা, ৭ নভেম্বর ২০২৫ঃ
“বন্দে মাতরম’ শুধুমাত্র একটি গান নয়, এটি আমাদের স্বাধীনতার আন্দোলনের মুক্তির মন্ত্র, যা ভারতীয়দের মধ্যে দেশপ্রেম ও ঐক্যের বোধ জাগিয়ে তুলেছিল।” ত্রিপুরায় ‘বন্দে মাতরম’ সংগীতের ১৫০ বছর পূর্তিতে উদযাপিত রাজ্যভিত্তিক অনুষ্ঠানে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ১৮৭৫ সালের ৭ নভেম্বর বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এই গানটি রচনা করেন এবং ১৮৯৬ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কংগ্রেস অধিবেশনে প্রথমবার গানটি পরিবেশন করেন। বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন থেকে শুরু করে আজাদ হিন্দ সরকারের ঘোষণায়ও এই গান ছিল অনুপ্রেরণার প্রতীক।
“এই উদযাপন আগামী প্রজন্মের মধ্যে দেশপ্রেমের নতুন বীজ বপন করবে”। তাঁর মতে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্যোগে ‘বন্দে মাতরম’-এর ১৫০ বছর পূর্তি উৎসব সমগ্র দেশকে আবারও দেশাত্মবোধের আবেগে উদ্দীপ্ত করবে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে মুখ্যমন্ত্রী ভারতমাতার প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেন। এরপর ‘বন্দে মাতরম’-এর ইতিহাস ও প্রেক্ষাপট তুলে ধরে একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। অনুষ্ঠানে ১৫০ জন শিল্পী একসঙ্গে বন্দে মাতরম গানটি পরিবেশন করে। নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বক্তব্যও সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
অনুষ্ঠানের শেষে মুখ্যমন্ত্রী ও অতিথিবৃন্দ ‘বন্দে মাতরম’-এর ওপর আয়োজিত চিত্র প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন।