আগরতলা, ৩১ মার্চ, ২০২৫ঃ
ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি কেলেঙ্কারি মামলার তদন্ত ক্রাইম ব্রাঞ্চের হাতে তুলে দিয়েছে রাজ্য সরকার। পুলিশ সদর দফতর থেকে মামলার দায়িত্ব পেয়ে ক্রাইম ব্রাঞ্চের অফিসাররা আমতলি থানা থেকে নথিপত্র সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করেছেন। চাকরি কেলেঙ্কারির একাধিক ঘটনায় অভিযুক্তদের বেশিরভাগের বাড়ি রাজ্যের বাইরে। ত্রিপুরা উচ্চ আদালতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ছেলে ললিত প্রসেইনের চাকরি সংক্রান্ত একটি মামলা চলছে।
ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয় একটি কেন্দ্রীয় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, এবং চাকরি সহ বিভিন্ন বিষয়ে নিজেদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রয়েছে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিজেদের সুবিধার জন্য নিয়েছে, যার ফলে পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রারসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারছে না। তবে, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক দীপক শর্মাকে চাকরি কেলেঙ্কারি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা ভবনের দুটি কক্ষ এখনও সিল করা রয়েছে, এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র পুলিশ পরীক্ষা করে দেখছে। মামলার গুরুত্ব বুঝে পুলিশ মহাপরিদর্শক মামলাটির তদন্ত ক্রাইম ব্রাঞ্চের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।