আগরতলা, ২৪ জুলাই ২০২৫ঃ
ত্রিপুরার দুটি জেলার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলা সীমানা বিতর্কের অবসান ঘটল অবশেষে। বৃহস্পতিবার গোমতী জেলা ও দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার সীমান্তবর্তী শ্রীকান্ত পাড়া নিয়ে করবুক মহকুমা ও শান্তিরবাজার মহকুমা-র মধ্যে চলমান দ্বন্দ্ব এবং প্রশাসনিক জটিলতা চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি করা হয়। প্রশাসনের এই পদক্ষেপে এলাকায় স্বস্তি ফিরে এসেছে।
দীর্ঘদিন ধরে শ্রীকান্ত পাড়া কোন জেলার অন্তর্ভুক্ত, তা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে বিভ্রান্তি ছিল প্রবল। এর জেরে শ্রীকান্ত পাড়ার বাসিন্দারা সরকারি পরিষেবা গ্রহণ, নাগরিক সুবিধা, ও বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে বারবার সমস্যায় পড়ছিলেন। এমনকি এই বিভ্রান্তির জেরে বিক্ষিপ্ত উত্তেজনামূলক ঘটনাও ঘটেছিল।
এই সমস্যা স্থায়ীভাবে সমাধান করতে বৃহস্পতিবার এলাকায় পৌঁছান রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া, করবুক বিধানসভার বিধায়ক সঞ্জয় মানিক ত্রিপুরা, বিধায়ক প্রমোদ রিয়াং, টিএসএফ-এর এমডিসি কুংজুং মগ, শান্তিরবাজার ও করবুক মহকুমার এসডিএম এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত একটি দল।
ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্যাটেলাইট ম্যাপ ও ভৌগোলিক পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে শ্রীকান্ত পাড়ার সীমানা স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করা হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শ্রীকান্ত পাড়ার বৃহত্তর অংশ পড়ছে করবুক মহকুমার আওতায় এবং একটি অংশ শান্তিরবাজার মহকুমার অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
পরিস্থিতিতে সাময়িক উত্তেজনা দেখা দিলেও, পুলিশের সক্রিয় উপস্থিতিতে তা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এখন থেকে শ্রীকান্ত পাড়াবাসীরা নিশ্চিতভাবে জানবেন তারা কোন প্রশাসনিক সীমার অন্তর্ভুক্ত, ফলে ভবিষ্যতে আর কোনো বিভ্রান্তি থাকবে না।
মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া এই উদ্যোগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন, ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের বিভ্রান্তি ও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি না ঘটে, সে জন্য দুই মহকুমার বাসিন্দাদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে।