আগরতলা, ৩০ আগস্ট, ২০২৫ঃ
রাজ্যের ক্রীড়াক্ষেত্রে সর্বাধিক পরিকাঠামোগত বিকাশ ঘটেছে বর্তমান সরকারের আমলেই, জাতীয় ক্রীড়া দিবস উপলক্ষে শনিবার দশরথ দেব স্পোর্টস কমপ্লেক্সে আয়োজিত অনুষ্ঠানে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, গ্রাম থেকে শহর সর্বত্র আন্তর্জাতিক মানের ক্রীড়া পরিকাঠামো গড়ে তোলার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এর ফলে রাজ্যের ক্রীড়াবিদরা জাতীয় স্তরে ধারাবাহিকভাবে সাফল্য অর্জন করছেন।
অনুষ্ঠানে ২০২৪-২৫ বর্ষে জাতীয় স্তরে পদকজয়ী ৩৯ জন খেলোয়াড়কে আর্থিক পুরস্কার দিয়ে সংবর্ধিত করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “অনুশীলনই সাফল্যের চাবিকাঠি। নিজের উপর বিশ্বাস রাখতে হবে এবং অন্যদের সঙ্গে তুলনা না করে নিয়মিত অনুশীলনে মন দিতে হবে।” তিনি আরও জানান, খেলোয়াড়দের উৎসাহিত করতে ‘মুখ্যমন্ত্রী ক্রীড়া উন্নয়ন প্রকল্প’ ও ‘মুখ্যমন্ত্রী ক্রীড়া অন্বেষণ প্রকল্প’-এর মাধ্যমে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
হকির জাদুকর মেজর ধ্যানচাঁদের জন্মদিন উপলক্ষেই জাতীয় ক্রীড়া দিবস উদযাপিত হয় উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তাঁর আদর্শে নবীন প্রজন্মকে ক্রীড়ামুখী করে তোলাই মূল উদ্দেশ্য। দীপা কর্মকারের মতো আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন খেলোয়াড়দের পথ অনুসরণ করে ভবিষ্যতেও রাজ্য থেকে আরও ক্রীড়া প্রতিভা উঠে আসবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মুখ্যমন্ত্রী কোচদের ভূমিকার গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে বলেন, শুধু খেলার প্রশিক্ষণ নয়, খেলোয়াড়দের স্বপ্ন দেখানো শেখানোও জরুরি। অনুশীলনের পূর্বে যোগব্যায়ামের উপরও তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন।
অনুষ্ঠানে ক্রীড়ামন্ত্রী টিংকু রায় বলেন, “ত্রিপুরা ছোট রাজ্য হলেও ক্রীড়া প্রতিভার কোনও অভাব নেই।” তিনি সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগের দিক তুলে ধরেন। এদিনের অনুষ্ঠানে মাউন্ট এভারেস্ট বিজয়ী অরিত্র রায়, আগরতলা থেকে লাদাখ পর্যন্ত সাইকেল অভিযাত্রী অজয় কুমার সাহা এবং দুইজন পিআই’কেও সংবর্ধিত করা হয়।